সরিষা (Mustard) বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তেল জাতীয় ফসল। এটি শুধু আমাদের রান্নার জন্য তেল জোগায় না, বরং সরিষার ফুলের হলুদ রঙে ছেয়ে যায় গ্রামের মাঠঘাট, যা শীতকালের এক অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।
সরিষার ফুল সাধারণত ছোট, চারটি পাঁপড়িযুক্ত এবং উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয়। এটি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে ফুটে থাকে।
ফুল ফুটলে জমি যেন হলুদ গালিচায় ঢাকা পড়ে—এই দৃশ্য প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এক দারুণ উপহার।
প্রয়োজনীয়তা:
মৌমাছির খাদ্য উৎস (মধু উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ)
পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের ফলন বাড়াতে সাহায্য করে
সৌন্দর্যের কারণে পর্যটন আকর্ষণও সৃষ্টি করে
উপযুক্ত সময়:
বাংলাদেশে সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে সরিষা বপন করা হয় এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চে ফসল তোলা হয়।
জমি প্রস্তুত:
ভালোভাবে চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। মাঝারি দোআঁশ মাটি সরিষা চাষের জন্য উপযোগী।
বীজ বপন:
সারি করে বপন করলে গাছের যত্ন নেওয়া সহজ হয়। প্রতি একরে প্রায় ২-৩ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।
সার ও পানি:
ফসফরাস ও পটাশযুক্ত সার এবং প্রয়োজনে ইউরিয়া ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত পানি দরকার হয় না, তবে প্রয়োজনমতো সেচ দিতে হয়।
নিরাপত্তা ও যত্ন:
পোকামাকড় দমনে জৈব বালাই নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে। গাছ বেড়ে ওঠার সময় আগাছা পরিষ্কার করা দরকার।
সরিষার বীজ থেকে তেল উৎপাদিত হয় যা আমাদের খাবারে বহুল ব্যবহৃত।
সরিষার খৈল গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মধু উৎপাদন ও রপ্তানির সুযোগ তৈরি করে।
সরিষা বাংলাদেশের কৃষির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করলে কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যায় এবং কৃষকের লাভবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস