Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

✅ নিরাপদ, সুন্দর ও সমৃদ্ধ ইউনিয়ন আমাদের অঙ্গীকার ✅ জনগণের ভোটে, জনগণের সেবা ✅ নিয়মিত ইউপি হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করুন, স্মার্ট সেবা গ্রহণ করুন ✅ জন্ম নিবন্ধন সবার জন্য জরুরি, এটি নাগরিক অধিকার ও পরিচয়ের গ্যারান্টি ✅ নাগরিক অধিকার করতে সুরক্ষণ ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ✅ সঠিক সময়ে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করে শিশু অধিকার নিশ্চিতকরণে সহায়তা করুন ✅ জনাব মোঃ আরিফান হাসান চৌধুরী, চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) ও গৌতম বিশ্বাস, ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সহকারী নিবন্ধক)।


মে-২০২৪ ইং মাসের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত

মে-২০২৪ ইং মাসের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত: ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গৌরবময় সম্মাননা প্রদান

জনসেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ একজন আদর্শ চেয়ারম্যান তাঁর নিরলস পরিশ্রম, দায়িত্ববোধ ও জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে নিজ ইউনিয়ন পরিষদকে যেমন উন্নয়নের দৃষ্টান্ত হিসেবে গড়ে তুলেছেন, তেমনি তিনি জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। মে-২০২৪ ইং মাসে ঝিনাইদহ জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি শুধুমাত্র নিজের নয়, বরং সমগ্র ইউনিয়নবাসীর জন্য গর্বের একটি অধ্যায় রচনা করেছেন।

এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি ছিল এক অনন্য প্রেরণার উৎস। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক, যিনি তাঁর বক্তব্যে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, “এ ধরনের দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিরাই দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।”

জনসেবায় নিরলস প্রয়াস

এই চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নিজের ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেন। ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণ, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা বিতরণে স্বচ্ছতা, অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রমে গতি আনয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় উদ্ভাবনী পদক্ষেপ এবং যুব সমাজের উন্নয়নে প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে তিনি স্থানীয় জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।

এছাড়াও, তাঁর ব্যক্তিগত সততা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কঠোর অবস্থান এবং দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানো তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি সদস্যকে তিনি দলের রঙ না দেখে দায়িত্বশীলতার মানদণ্ডে বিচার করেছেন এবং সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভূমিকা

বর্তমান যুগে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া উন্নয়ন কল্পনাই করা যায় না। শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করে তোলেন। তিনি জনগণের হাতে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে ইউডিসিকে একটি দক্ষ ও উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করেন।

বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করে তিনি ইউডিসির উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেন। তাঁর নেতৃত্বে ইউনিয়নবাসী জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, অনলাইন আবেদন, চাকরি সংক্রান্ত তথ্যসেবা এবং কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ সহজেই গ্রহণ করতে সক্ষম হন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তিনি নিজেকে একজন দুর্দান্ত প্রশাসক হিসেবে প্রমাণ করেছেন। সাম্প্রতিক বন্যা ও ঝড়ঝঞ্ঝার সময় তিনি নিজ হাতে দুর্গত এলাকায় পৌঁছে খাবার, ওষুধ এবং আশ্রয় ব্যবস্থার তদারকি করেন। এমনকি অনেক সময় নিজস্ব অর্থায়নে তিনি সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তাঁর দ্রুত পদক্ষেপ এবং জনসম্পৃক্ততা নীতিকে জেলার অন্যান্য চেয়ারম্যানদের জন্য অনুকরণীয় বলে মনে করা হয়।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এই চেয়ারম্যান সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করেছেন। তিনি প্রতিটি প্রকল্পে জনগণের মতামত গ্রহণ করে কাজ শুরু করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা নিয়মিতভাবে প্রকাশ করেছেন। বাজেট ঘোষণা, উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন, ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভার কার্যবিবরণী—সবকিছুই জনসম্মুখে উন্মুক্ত করেছেন।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান: এক অনুপ্রেরণার গল্প

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী এবং প্রেরণামূলক। জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এই চেয়ারম্যান যেভাবে ইউনিয়ন পরিষদকে জনকল্যাণমূলক কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন, তা নিঃসন্দেহে জেলার অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের জন্য অনুকরণীয়। আমরা চাই, আগামীতে এমন আরও অনেক চেয়ারম্যান জেলার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”

চেয়ারম্যান মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এই পুরস্কার শুধু আমার একার নয়, এটি পুরো ইউনিয়নবাসীর অর্জন। আমি কৃতজ্ঞ তাঁদের কাছে, যাঁরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের ইউনিয়নকে একটি উন্নত, স্বচ্ছ ও মানবিক সমাজে পরিণত করতে পারব।”

সমাপ্তি

মে-২০২৪ ইং মাসে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। এই সম্মাননা একজন চেয়ারম্যানের নিরলস প্রচেষ্টা, জনকল্যাণে দৃঢ় অঙ্গীকার এবং নেতৃত্বদানের যোগ্যতার প্রতিফলন। এ ধরনের স্বীকৃতি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করে তুলতে পারে।

এই চেয়ারম্যান যেন আগামীতেও তাঁর সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে আরও বৃহত্তর অবদান রাখতে পারেন—এ প্রত্যাশায় রইলাম।