গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
স্থানীয় সরকার বিভাগ
গ্রাম আদালত বিধিমালা
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত বিধিমালা মূলত গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ (২০০৬ সালের ১৯ নং আইন) অনুযায়ী প্রণীত হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, গ্রাম আদালত বিধিমালা, ২০১৬ প্রণীত হয়, যা গ্রাম আদালতের গঠন, কার্যপ্রণালী, এখতিয়ার এবং বিচার কার্যক্রম পরিচালনার বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
গঠন: গ্রাম আদালত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাদী ও বিবাদী পক্ষের মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। সাধারণত, চেয়ারম্যানসহ মোট ৫ জন সদস্য নিয়ে আদালত গঠিত হয়।
বিচারযোগ্য বিষয়: গ্রাম আদালতে ছোটখাটো দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা বিচারযোগ্য। যেমন, সাধারণ আঘাত, চুরি (নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে), ক্ষতিপূরণ আদায় ইত্যাদি।
কার্যপ্রণালী: বাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন দাখিল করেন। চেয়ারম্যান আবেদন গ্রহণের পর উভয় পক্ষকে সমন জারি করেন এবং আদালত গঠন করেন। শুনানি শেষে রায় প্রদান করা হয়।
আপিল: গ্রাম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট শর্তে আপিল করা যায়। দেওয়ানী মামলায় সহকারী জজ এবং ফৌজদারী মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করা যায়।
গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬-এ ২০২৪ সালে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে, যা আদালতের কার্যক্ষমতা ও এখতিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। এই সংশোধনী আইনটি বিস্তারিতভাবে এখানে পাওয়া যায়: গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৪
গ্রাম আদালত বিধিমালা, ২০১৬-এর সম্পূর্ণ পাঠ এখানে পাওয়া যায়।
এই বিধিমালায় গ্রাম আদালতের গঠন, কার্যপ্রণালী, বিচারযোগ্য বিষয়, আপিল প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস