বাংলাদেশ সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ রূপকল্পে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে 'জনগণের দোরগোড়ায় সেবা' এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত ১১/১১/২০১০ খ্রিঃ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক কেন্দ্র ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র(ইউআইএসসি)’ উদ্বোধন করেন। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ১নং এস,বি,কে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসেও একটি তথ্য ও সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। ফলে এই তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় নাগরিক সনদ ছাড়াও বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এই কেন্দ্রের সেবার পরিধি দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৩/০৬/২০১৪ খ্রিঃ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’(National Web Portal) এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই তথ্য বাতায়নের অংশ হিসেবে ১নং এস.বি.কে ‘ইউনিয়ন তথ্য বাতায়ন’ (Union Web Portal) খোলা হয়েছে। এই তথ্য বাতায়নের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে মানুষ এখন ১নং এস,বি,কে ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ভৌগলিক অবস্থা, ভাষা ও সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যাতায়াত ব্যবস্থা, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, সামাজিক সেবামূলক কর্মকান্ড ইত্যাদি বিষয়ক তথ্য জানতে পারবে। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব মানুষের কাছে ১নং এস,বি,কে ইউনিয়নকে তুলে ধরতে পারছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র এই তথ্য বাতায়ন সৃষ্টির মধ্য দিয়েই। এজন্য আমি আমার ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও এটুআই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেক আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে এটাও ব্যক্ত করছি যে, জাতীয় কল্যাণ ও আমার ইউনিয়নের জন্য কল্যাণকর সরকারের এই ধরণের মহান কার্যক্রমে আমি ও আমার ইউনিয়নবাসী সর্বাত্নক সহযোগীতা করব।
গত ০৬/০১/২০২২ খ্রিঃ তারিখ হতে পুনঃ নির্বাচিত হয়ে আমার নেতৃত্বে বর্তমান পরিষদের যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই আমি, ইউপি সদস্যবৃন্দ, অফিসের কর্মচারীগণ সবাই মিলে আমরা একটি পরিবার হিসেবে কাজ করে আসছি। যে কারনে পরিষদের সামগ্রীক কার্যক্রম গতিশীল এবং মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ১নং এস.বি.কে ইউনিয়ন মহেশপুর উপজেলার প্রথম ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বেশী উন্নতি করেছে। আর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন হলো যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি। তাই দ্বায়িত্বভার গ্রহণের পর আমরা সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছি ইউনিয়নের অভ্যন্তরিন যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির দিকে। সেই লক্ষে এই পর্যন্ত আমরা ইউনিয়নের প্রায় ৯০ ভাগ রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। যার ফলে মানুষের মধ্যে কর্মশীলতা বেড়েছে, গতিশীলতা বেড়েছে। মানুষ সহজেই হাট বাজারে যেতে পারছে, দ্রুত ও কম সময়ের মধ্যে হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে যেতে পারছে। ছাত্রছাত্রীরা নির্বিঘ্নে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রসায় যেতে পারছে। এছাড়াও আমরা অনেক কালভার্ট, প্যালাসাইটিং, মাটি ভরাট, বাজার ঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছনতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।
এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড আমরা ইতিপূর্বে বাস্তবায়ন করেছি এবং কিছু বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। সরকারী বিভিন্ন ভাতা যে পরিমাণ বরাদ্দ আছে তাতে বৃহৎ একটি অংশই সরকারী ভাতা প্রাপ্তীর বাইরে থেকে যায়। এজন্য সম্প্রতি এই সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর মধ্যে ইউপির নিজস্ব উদ্দ্যোগে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যার কার্যক্রম বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। ১নং এস,বি,কে ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি এবং প্রশাসনকে সহায়তা করছি। ইউনিয়নের কোথাও কোন বাল্য বিবাহ হচ্ছে কিনা তা সার্বক্ষনিক নজরদারি করা হচ্ছে।বর্তমানে নারীরাও জাতীয় উন্নয়নের অংশীদার। ১নং এস,বি,কে ইউনিয়নের নারী শিক্ষার হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অত্র ইউনিয়ন আইন শৃংখলার দিকে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। এই ইউনিয়ন বাংলাদেশের সীমান্ত বর্তী হওয়ায় ৫৮ বর্ডার গাড বাংলাদেশ বিজিবি ব্যাটালিয়ন উদ্বোধন করা হয় ২০১৪ সালে। এই ব্যাটালিয়ন সদস্যরা ইউনিয়নের আইন শৃংখলা সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষনিক কাজ করে চলেছে। এছাড়া প্র্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের গ্রাম পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। ১নং এস,বি,কে ইউনিয়নের জনগণ খেলাধুলা খুব পছন্দ করে এবং বিনোদনপ্রিয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ শান্তিপূর্ণ ও সৌভ্রাতৃত্বের সাথে এখানে বসবাস করছে।
পরিশেষে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার ইউপি সদস্যবৃন্দদের প্রতি যারা প্রথম থেকেই আমাকে অকুন্ঠ সমর্থন ও সাহস দিয়ে আসছে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের, যারা তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে অফিসের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছে। সবশেষে আমি চিরঋণী আমার ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের কাছে, যারা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচীত করেছে। এই ইউনিয়নের জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমার এই পথচলাকে আরো সূদুরপ্রসারী করতে আমি সবার কাছে সহযোগীতা কামনা করছি । আপনারা সকলে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ-
মোঃ আরিফান হাসান চৌধুরী
চেয়ারম্যান
১নং এস.বি.কে ইউনিয়ন পরিষদ
মহেশপুর, ঝিনাইদহ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস