বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ এবং প্রতিটি অঞ্চলে কৃষিই জীবিকা নির্বাহের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। খুলনা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার এসবিকে (এস বি কে) ইউনিয়নও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানকার উর্বর জমি ও অনুকূল আবহাওয়া সবজি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসবিকে ইউনিয়নে সবজি চাষ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এসবিকে ইউনিয়নের মাটি মাঝারি দোআঁশ থেকে কাঁদামাটি প্রকৃতির, যা বিভিন্ন মৌসুমি সবজি চাষের জন্য অনুকূল। বর্ষা ও শীতকাল—দুই ঋতুতে এখানে সবজির ভালো ফলন হয়ে থাকে। প্রচুর বৃষ্টিপাত ও পর্যাপ্ত রোদ, বিশেষ করে শীতকালে শাকসবজির ফলনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
এসবিকে ইউনিয়নে বর্তমানে যে সব সবজিগুলো বেশি চাষ হয়, তার মধ্যে রয়েছে:
ফুলকপি ও বাঁধাকপি
শিম, বরবটি, মুলা
টমেটো, করলা, লাউ, কুমড়া
ধনে পাতা ও পালংশাক
বেগুন ও কাঁচামরিচ
অনেক কৃষক এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে বাজারজাতও করছেন, যা থেকে তারা ভালো আয় করছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় অনেক চাষি এখন সার ও কীটনাশকের সঠিক ব্যবহার শিখছেন। আধুনিক চাষ পদ্ধতি যেমন মালচিং, বেড পদ্ধতিতে চাষ ও ড্রিপ সেচ ব্যবস্থাও কিছু এলাকায় চালু হয়েছে। এতে ফসলের উৎপাদনশীলতা ও গুণগতমান বেড়েছে।
যদিও এসবিকে ইউনিয়নে সবজি চাষে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, তারপরও কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে:
অনিয়মিত আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
বাজারে ন্যায্য দামের অভাব
রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ক্ষতিকর ব্যবহার
এই সমস্যাগুলোর সমাধানে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সহজে কৃষি ঋণ প্রাপ্তি, এবং একটি কার্যকর বিপণন ব্যবস্থার প্রয়োজন।
এসবিকে ইউনিয়নে সবজি চাষ শুধু কৃষকের জীবিকা নির্বাহ নয়, বরং স্থানীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বিত উদ্যোগ এবং কৃষকদের সচেতনতা বাড়ালে এই ইউনিয়নটি দেশের অন্যতম একটি মডেল সবজি উৎপাদক এলাকায় পরিণত হতে পারে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস