বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
আমি গভীর আনন্দ এবং গর্বের সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠানের/সংস্থার (১নং এস.বি.কে ইউনিয়ন পরিষদের) পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজকের এই ক্ষণ আমাদের সকলের জন্য একটি স্মরণীয় অধ্যায়, যেখানে আমরা আমাদের অর্জন, উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
একটি সমাজের উন্নয়ন নির্ভর করে তার নেতৃত্বের সততা, প্রজ্ঞা এবং সেবামূলক মনোভাবের উপর। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নেতৃত্ব মানে শুধুমাত্র কর্তৃত্ব নয়; বরং নেতৃত্ব মানে হলো দায়িত্ব, সেবার মানসিকতা এবং জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া। এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি এবং আমার সহকর্মীরা সবসময় চেষ্টা করেছি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে।
আমাদের প্রিয় এলাকাটি একটি স্বপ্নময় স্থান, যেখানে প্রতিটি মানুষের মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা, সম্ভাবনা এবং ভালো কিছু করার আকাঙ্ক্ষা আছে। আমাদের দায়িত্ব ছিল এই সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তব রূপ দেওয়া এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। এজন্য আমরা বিগত সময়গুলোতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, নারী উন্নয়নসহ নানামুখী খাতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।
বিশেষ করে আমি গর্বের সাথে উল্লেখ করতে চাই, আমরা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছি। নতুন রাস্তা নির্মাণ, পুরনো রাস্তাগুলোর মেরামত, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছি।
শিক্ষা খাতেও আমাদের দৃঢ় প্রয়াস অব্যাহত আছে। এলাকার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমরা অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান করেছি, ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
স্বাস্থ্য খাতে জনগণের সহজলভ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়নে আমাদের অঙ্গীকার অব্যাহত রয়েছে।
সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী, প্রতিবন্ধী এবং বৃদ্ধদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। "ভিজিডি", "ভিজিএফ", "বয়স্ক ভাতা", "প্রতিবন্ধী ভাতা" প্রভৃতি কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের জীবনে নিরাপত্তার বলয় সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি।
আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই এলাকার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি, যারা সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, সমালোচনা করেছেন এবং উন্নয়নের পথ দেখিয়েছেন। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, আমি আশা করি ভবিষ্যতেও আমাদের সকল কার্যক্রমে আপনাদের এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
একটি উন্নত, আধুনিক, মানবিক এবং সবল সমাজ গঠনের জন্য আমাদের আরও অনেক কাজ বাকি আছে। আমাদের সামনে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ, প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রত্যয়। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা এখন সময়ের দাবি। এজন্য আমরা ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, আত্মকর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছি এবং ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত করবো।
প্রিয় এলাকাবাসী,
আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই—নিজেদের প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণ করা। আমাদের প্রত্যেকটি কাজ যেন হয় সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত, এই প্রতিশ্রুতি আমি আপনাদের সামনে পুনর্ব্যক্ত করছি।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সেবাই হচ্ছে নেতৃত্বের মূলমন্ত্র। এই বিশ্বাসকে ধারণ করে, আমি আপনাদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছি এবং সামনের দিনগুলোতেও আপনাদের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে, আমি মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের সকল উদ্যোগকে কবুল করেন, আমাদের এলাকা ও জাতিকে সমৃদ্ধি ও শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যান। আপনাদের সকলের প্রতি আবারও আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসুন, আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলি একটি উন্নত, মানবিক ও আধুনিক সমাজ।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।
মোঃ আরিফান হাসান চৌধুরী
চেয়ারম্যান
১নং এস.বি.কে ইউনিয়ন পরিষদ
মহেশপুর, ঝিনাইদহ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস