"গ্রাম আদালত আইন" বলতে বাংলাদেশে কার্যকর একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন বোঝানো হয়, যার মাধ্যমে গ্রামীণ পর্যায়ে ন্যায়বিচার সহজলভ্য করা হয়েছে। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো—গ্রাম পর্যায়ে ছোটখাটো দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ দ্রুত, কম খরচে ও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিষ্পত্তি করা।
বাংলাদেশে বর্তমানে যেটি কার্যকর, সেটি হলো:
গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ (Village Court Act, 2006)
এই আইনের মূল বৈশিষ্ট্য:
গ্রাম আদালতের গঠন:
ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন প্রতিটি ইউনিয়নে একটি গ্রাম আদালত গঠিত হয়।
এতে মোট ৫ জন সদস্য থাকেন:
১ জন চেয়ারম্যান (ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান),
বাদী ও বিবাদীর মনোনীত ৪ জন সদস্য (দুই পক্ষের মধ্যে সমান সংখ্যায়)।
বিচারযোগ্য মামলা:
গ্রাম আদালত সাধারণত এমন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা শুনতে পারে যেগুলোর আর্থিক মূল্য বা ক্ষতিপূরণ সীমিত (প্রায় ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত, সংশোধনী অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে)।
সাধারণ ঝগড়া, হালকা মারামারি, হুমকি, সামান্য চুরির মতো বিষয়াদি এতে পড়ে।
আপিল ও কার্যপ্রণালী:
গ্রাম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ সীমিত।
কার্যপ্রণালী সরল, দাপ্তরিকতা কম এবং গ্রাম্য প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তৈরি।
আইনটির উদ্দেশ্য:
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্পমূল্যে, দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করা।
থানা ও আদালতের উপর চাপ কমানো।
সংশোধন:
২০০৬ সালের আইনের পরবর্তীতে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে, যেমন:
গ্রাম আদালত আইন (সংশোধন) ২০১৩
Village Courts (Amendment) Act, 2023
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস