Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

✅ নিরাপদ, সুন্দর ও সমৃদ্ধ ইউনিয়ন আমাদের অঙ্গীকার ✅ জনগণের ভোটে, জনগণের সেবা ✅ নিয়মিত ইউপি হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করুন, স্মার্ট সেবা গ্রহণ করুন ✅ জন্ম নিবন্ধন সবার জন্য জরুরি, এটি নাগরিক অধিকার ও পরিচয়ের গ্যারান্টি ✅ নাগরিক অধিকার করতে সুরক্ষণ ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ✅ সঠিক সময়ে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করে শিশু অধিকার নিশ্চিতকরণে সহায়তা করুন ✅ জনাব মোঃ আরিফান হাসান চৌধুরী, চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) ও গৌতম বিশ্বাস, ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সহকারী নিবন্ধক)।


ছবি
শিরোনাম
সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি
বিস্তারিত

সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি: ইতিহাসে মোড়ানো এক নিঃশব্দ স্থাপত্য

বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মতোই ইতিহাসের গর্ব বহন করে চলছে অনেক পুরনো স্থাপনা। তেমনি এক প্রাচীন নিদর্শন হলো এসবিকে ইউনিয়নের সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি। মেহেরপুর জেলার অন্তর্গত এই ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়িটি একসময় ছিল আভিজাত্য, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক চেতনার কেন্দ্রবিন্দু।

স্থাপত্য ও নির্মাণশৈলী

সুন্দরপুর জমিদার বাড়িটি নির্মিত হয়েছিল সম্ভবত ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে। সেই সময়ের রাজকীয় ও মুঘল স্থাপত্যরীতির প্রভাব এখানে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। লাল ইট, মোটা দেয়াল, খোলা বারান্দা, আর কারুকার্যময় কাঠের দরজা-জানালার মধ্য দিয়ে জমিদার পরিবারের ঐশ্বর্য ধরা দেয়। বাড়ির মূল ফটক, সভা কক্ষ, গোডাউন, অতিথিশালা ও ঠাকুরঘর প্রভৃতি এখনও ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ইতিহাস ও জমিদার পরিবার

এই জমিদার বাড়ির পেছনে রয়েছে একটি বিস্তৃত ইতিহাস। জমিদার পরিবারটি ছিল শিক্ষিত ও প্রভাবশালী। তারা শুধু কর আদায় করত না, বরং এলাকার শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন। ব্রিটিশ আমলে তাদের অনেক সদস্য রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিলেন এবং পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনেও সহায়তা করেছেন বলে কথিত রয়েছে।

বর্তমান অবস্থা

দুঃখজনক হলেও সত্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই জমিদার বাড়িটি আজ অনেকটা উপেক্ষিত। যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে বাড়ির কিছু অংশ ইতোমধ্যেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে এখনো স্থানীয় লোকজন ও ইতিহাসপ্রেমীরা এটিকে একবার দেখতে যান। অনেকেই এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

যদি সরকারের পর্যটন বিভাগ কিংবা স্থানীয় প্রশাসন এই জমিদার বাড়িটিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে, তবে এটি হতে পারে একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র। শিক্ষার্থীরা ইতিহাস জানতে পারবে, আর আগ্রহীরা ফিরে পাবে অতীতের বাংলাদেশের এক বাস্তব চিত্র।


সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি সময়ের কাহিনি, যা আজও ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে আমাদের ডাকে ফিরে যেতে সেই ঐতিহ্যের যুগে।