গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সম্প্রতি চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফ্লাট সলিং কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এতে করে স্থানীয় জনগণের চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে, কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হয়েছে এবং শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরেছে।
এই রাস্তাটি পূর্বে কাঁচা এবং বৃষ্টি মৌসুমে চলাচলের অযোগ্য ছিল। ফ্লাট সলিং কাজের মাধ্যমে এটি এখন একটানা চলাচলের উপযোগী হয়েছে। ১০০% কাজ সম্পন্ন হওয়ায় খালিশপুর এবং গোবিন্দপুর এলাকার সাধারণ মানুষ বিশেষ উপকৃত হচ্ছেন। তারা এখন নির্বিঘ্নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং বাজারে যাতায়াত করতে পারছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সুবিধার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। আগে শিশুদের স্কুলে যাওয়া ছিল কষ্টসাধ্য, বিশেষ করে বর্ষাকালে। এখন এই রাস্তায় সহজে বাইসাইকেল ও রিকশায় যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে। অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই রাস্তা দিয়ে মূলত কৃষিজমিতে যাতায়াত ও পরিবহন কার্যক্রম হয়ে থাকে। উন্নয়ন কাজ শেষে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে মাঠ থেকে বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন। রাস্তা উন্নয়নের ফলে উৎপাদন খরচ কমেছে এবং লাভ বেড়েছে। ১০০% কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বটতলা মসজিদে যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ করতে এই রাস্তাটি উন্নয়ন করা হয়। পূর্ণাঙ্গ ফ্লাট সলিংয়ের ফলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের আর কষ্ট পোহাতে হয় না। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও নারী মুসল্লিদের চলাচলে স্বস্তি এসেছে।
উক্ত চারটি রাস্তার উন্নয়ন কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর মানুষের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এটি কেবল চলাচলের সুবিধাই নয়, বরং শিক্ষা, কৃষি ও ধর্মীয় জীবনের সার্বিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করছে। স্থানীয় জনগণ এই উন্নয়নে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও উন্নয়ন কাজের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস