এসবিকে ইউনিয়ন, যেটি সবুজ শ্যামল প্রকৃতি ও কৃষিনির্ভর জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত, সেখানে এখন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে কমলা লেবু চাষ। স্থানীয় কৃষকরা ধান, সবজি কিংবা অন্যান্য মৌসুমী ফসলের পাশাপাশি এখন ফলদ বৃক্ষ হিসেবে কমলা লেবু চাষের দিকে ঝুঁকছেন। জলবায়ু, মাটির উর্বরতা এবং চাষাবাদের উপযুক্ত পরিবেশের কারণে এসবিকে ইউনিয়ন দিন দিন কমলা লেবু চাষের জন্য আদর্শ এলাকায় পরিণত হচ্ছে।
এসবিকে ইউনিয়নের মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো থাকায় সাইট্রাস জাতীয় ফলের উৎপাদন এখানে ভালো হয়। বর্ষার পর থেকে শীতকাল পর্যন্ত সময় কমলা লেবুর বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময়। পাশাপাশি রোগ-বালাই কম হওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও কম হয়।
একজন কৃষক মাত্র ১ একর জমিতে কমলা লেবু চাষ করে বছরে গড়ে ১-১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। ফল সংগ্রহ শুরু হয় চারা রোপণের ২-৩ বছরের মধ্যে। স্থানীয় বাজার ছাড়াও জেলার বাইরের বাজারে কমলার চাহিদা রয়েছে। ফলে কৃষকরা ন্যায্য দামে ফল বিক্রি করতে পারছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে নিয়মিত। অনেক কৃষক এখন জৈবসার ব্যবহার করে কমলা লেবু উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন, যা দীর্ঘমেয়াদে মাটির গুণাগুণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অনেক কৃষক নার্সারি থেকে উন্নত জাতের কলম করা চারা সংগ্রহ করে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করছেন।
যদিও মাঝেমধ্যে খরা বা অতিবৃষ্টির কারণে ফলের গুণগত মানে কিছুটা প্রভাব পড়ে, তবে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ সমস্যাগুলোও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সরকারি সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক প্রণোদনা থাকলে এসবিকে ইউনিয়ন অচিরেই দেশের অন্যতম একটি কমলা লেবু উৎপাদনকারী অঞ্চলে পরিণত হতে পারে।
উপসংহার:
কমলা লেবু চাষ এখন শুধুই বিকল্প চাষ নয়, বরং এসবিকে ইউনিয়নের কৃষকদের জন্য এটি একটি লাভজনক পেশা ও জীবিকার নতুন দিগন্ত। সঠিক দিকনির্দেশনা ও উদ্যোগ থাকলে এই অঞ্চলে কমলা লেবু চাষ আরও ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে এবং কৃষকরা হবে স্বনির্ভর।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS